বর্তমানে পুরো পৃথিবীটাই digitaliation এর মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছে আমরাও এই দিক থেকে পিছিয়ে নেই আমরা অনেকে এমন আছি যারা কম্পিউটার জানিনা বা কোনদিন শিখিনি কিন্তু আমরা অনেক বিষয়ে যে কম্পিউটার এর সাহায্য নিচ্ছি সেটা অস্বীকার করতে পারবো না। এমনকি অনেক মেশিনারিজ রয়েছে যেগুলো কম্পিউটারের মধ্যেই পড়ে এগুলো প্রত্যেকটি এক একটি কম্পিউটার কিন্তু বর্তমানে আমরা শুধুমাত্র কম্পিউটার বলতে যেটা বুঝি সেটা হল যেই যন্ত্রটির মাধ্যমে আমরা প্রায় সকল কাজেই ডিজিটাল ভাবে করতে পারি এবং একটি মনিটর একটি পিসি একটি কিবোর্ড এবং একটি মাউস সাধারণত এগুলো সংযুক্ত করে যেই ডিভাইসটি তৈরি করা হয় সেটিকে আমরা কম্পিউটার ভেবে থাকি বা বলে থাকি কিন্তু কম্পিউটার যখন শুরু হয়েছিল তখনকার ইতিহাসটা একেবারেই অন্যরকম সর্বপ্রথম কম্পিউটার কোন যন্ত্র এর নাম ছিল না। পূর্বে কম্পিউটার বলা হত যারা হিসেব রক্ষক ছিল অর্থাৎ যারা হিসেব এর কাজ করত তাদেরকে কম্পিউটার বলা হত। কম্পিউটার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে কম্পিউটারের ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন তাই আমরা যেহেতু বর্তমান কম্পিউটারের ওপর একেবারেই নির্ভরশীল তাই আজ আমরা কম্পিউটারের বিষয়ে জানার চেষ্টা করব। সর্বপ্রথম আমাদের মনে যে প্রশ্নটি আসে সেটি হল।
কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন
এর উত্তরে বলা যেতে পারে কম্পিউটার কোন একক ব্যক্তি এর দ্বারা আবিষ্কৃত নয়। তাই কোন ব্যক্তি এককভাবে কম্পিউটার আবিষ্কারের দাবী করতে পারেন না। কম্পিউটার আবিষ্কার হয়েছিল বিশ্বের অজস্র বিজ্ঞানের সম্মিলিত কঠোর পরিশ্রম এবং অত্যাধিক সময় ব্যয় করার মাধ্যমে। তবে ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে চার্লস ব্যাবেজ যে কম্পিউটার তৈরি করেছিল তার সেই কম্পিউটারের যে প্রযুক্তি ও নীতি ব্যবহার করেছিলেন পরবর্তী কালের বিজ্ঞানীরা সেই নীতি ব্যবহার করেই পরবর্তীতে কম্পিউটার আবিষ্কার করেন আর যার মাধ্যমে আমরা এখন এত উন্নত মানের কম্পিউটার পেয়েছি। এই কারণে চার্লস ব্যাবেজ কে কম্পিউটারের জনক বা ফাদার অফ কম্পিউটার বলা হয়ে থাকে। কিন্তু উনি কম্পিউটারের আবিষ্কারক নন। এরপরে দ্বিতীয় আমাদের মস্তিষ্কে যে প্রশ্নটি আসতে পারে সেটি হল কম্পিউটারের উদ্ভব কোথায় হয়েছিল এবং প্রথম কম্পিউটারের নাম কি…? এর উত্তর হল বিশ্বের সর্বপ্রথম কম্পিউটারের নাম আবাকাস। এটি সর্ব প্রথমে পাওয়া গেছিল চীন দেশে আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার তের বছর পূর্বে। যদিও এটা নিয়ে অনেক বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে।
এবং এ পর্যায়ে কম্পিউটারের আবিষ্কারকের নাম এখনো অজানা। চীন বাসীরা এই কম্পিউটার সর্বপ্রথম ব্যবহার করা শুরু করেছিল এই যন্ত্রটি সাধারণত কাঠ বা ধাতুর ফ্রেম এর ভিতরে তার এর মধ্যে হাতের সাহায্যে পুতিসরিয়ে সংখ্যা গোনা যেত পূর্বে বলেছি কম্পিউটার বর্তমানে আমরা যেই কম্পিউটার দেখতেছি পূর্বের কম্পিউটার এমন ছিল না বিভিন্ন পর্যায়ে একের পর এক আবিষ্কারের মাধ্যমে বর্তমান কম্পিউটার আবিষ্কৃত হয়েছে। তাই কোন একক ব্যক্তি কম্পিউটারের আবিষ্কারক বলে দাবি করতে পারেন না। সর্বপ্রথম কম্পিউটারে যে সমস্ত পুতি গুলো ছিল এগুলোর মাধ্যমে আসলে দিন সময় ঘন্টা গণনা করা যেত এবং সেই সময় এই কম্পিউটার এভাবেই ব্যবহৃত হতো। ঠিক সেই সময় জাপানি রাও একটি যন্ত্র ব্যবহার করত যার নাম ছিল সরোবন। তবে এই যন্ত্রটি চীন দেশে ব্যবহৃত আবার কাছের মত এত প্রসিদ্ধ ছিল না। আবাকাস সেই সময় অধিক জনপ্রিয় একটি যন্ত্র ছিল।
এরপরে ১৬১৭ খ্রিস্টাব্দে কম্পিউটার জগতে আরো একটি যন্ত্র মাথা ছাড়া দিয়ে ওঠে যেটি আবিষ্কার করেছিলেন জন নেভিয়ার নামক একজন বিজ্ঞানী। আর তার আবিষ্কৃত সেই যন্ত্রটির নাম ছিল নেপিয়ারস বোন। অর্থাৎ বিজ্ঞানের নাম অনুসারে সেই সময় এই যন্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছিল। এটির ও ঠিক আবাকাসের মতোই ব্যবহার প্রণালী ছিল। হাতির দাঁতের তৈরি এই যন্ত্রটিতে ১০ টি রেখাঙ্কৃত দন্ড ছিল, এর সাহায্যে দুটি বড় সংখ্যা গুণ করা সম্ভব হতো। এরপরে ১৬২০ খ্রিস্টাব্দে টেকনোলজি জগতে আরেকটি বড় পরিবর্তন আবিষ্কৃত হয়। যা সেই সময় স্লাইড রোল নামে পরিচিত ছিল। এই যন্ত্রটির আবিষ্কারক ছিলেন উইলিয়াম ওট্রেড। এটি নেপিয়ারের নীতির ওপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছিল। আর এটাতে গুণ ভাগ বর্গমূল করা যেত। এরপরে এই আবিষ্কারের ঠিক ২২ বছর পর আরেকটি বড় আবিষ্কার সকলের সামনে আসে যেটির নাম ছিল পাসকালের ক্যালকুলেটর। এটি ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কৃত হয়। এবং এটি বিশ্বের সর্বপ্রথম ক্যালকুলেটর এতে চারশারের সংখ্যা যোগ বিয়োগ গুণ ও ভাগ করা যেত। এরপরে ১৬৭১ খ্রিস্টাব্দে আরো একটি কম্পিউটার আবিষ্কার হয় যেটির নাম ছিল স্টেপড রেকনার। এবং এই কম্পিউটারটি বিজ্ঞানী গডফে লিভ নিজ আবিষ্কার করেন। এবং এটিই ছিল বিশ্বের সর্বপ্রথম মেকানিক্যাল ক্যালকুলেটর। এর মাধ্যমে যোগ বিয়োগ গুন ভাগ ক্যালকুলেট করা যেত।
এরপরে কম্পিউটার জগতে আরেকটি সাফল্য আবিষ্কৃত হয় যার নাম ছিল জ্যাকওয়ার্ড লোম যেটি আবিষ্কৃত হয় ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে। এবং এ কম্পিউটারটিতে বিশ্বে প্রথম পাঞ্চ কার্ড ব্যবহার করে প্রথম তাঁত যন্ত্র কে স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছিল। এরপরে ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে কম্পিউটার জগতে সবথেকে বড় এবং অভিনন্দন আবি।ষ্কার হয়। এবং উক্ত সময়ের বিভিন্ন টিপস এন্ড ট্রিকসগুলো বর্তমানেও মানুষ ফলো করে থাকে। সেই সময় থেকেই একটি নতুন বিজ্ঞানী এর আবির্ভাব ঘটে। এবং এটিও কম্পিউটারের জনক তথা চার্লস ব্যাবেজ এর আবিষ্কৃত। এবং এটির নাম ছিল ডিফারেন্স ইঞ্জিন। সর্বপ্রথম তথ্য সঞ্চয় এর ধারণা দিয়েছিল এই কম্পিউটার। এই কম্পিউটারে প্রথম তথ্য সঞ্চয় এর ধারণা দিয়েছিল এই কম্পিউটার। এবং উক্ত কম্পিউটারের মাধ্যমে অনেকগুলো কাজ করা যেত, এছাড়াও সমস্ত রকম গাণিতিক সমস্যা এবং বর্গ ও সমস্ত রকমের গাণিতিক সমস্যা এবং বর্গ ও বর্গমূল হিসেব করা যেত। এর পরবর্তীকালে চার্লস ব্যাবেজ আরেকটি কম্পিউটার আবিষ্কার করেন ।
যার নাম ছিল অ্যানালিটিকাল ইঞ্জিন। এবং এটি ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে । এই কম্পিউটারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ গুন ভাগ এবং বর্গমূল হিসাব করা যেত। AVN 88 input progress output বংশে জিবির করা হয়। তবে যন্ত্রপাতি এবং আর্থিক সংকটের কারণে চার্লস ব্যাবেজ এই প্রজেক্টটি সম্পূর্ণরূপে আদায় করতে পারেনি। এরপর ১৯৯০ সালে: যেটির নাম ছিল হলার িক ট্যাবুলেটর বা সেন্সাস ডিভাইস। এবং এটি আবিষ্কার করেন হার্মান হলারিথ। এই কম্পিউটারটিতে ছিদ্রযুক্ত একপ্রকার পাঞ্চ কার্ড ব্যবহার করা হতো এবং এই কম্পিউটার ব্যবহার করেই সেই সময় আমেরিকার জনগণনা করা হয়েছিল। পাঞ্চ কার্ড এর সাহায্যে তথ্যাদি সরবরাহ ও সংরক্ষণ করা হত। এই যন্ত্রটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ছিল। যেটা কিনা নিজে থেকেই তার সমস্ত কাজ করতে পারতো। এর পরবর্তীকালে এমন এক বিশাল কম্পিউটার আবিষ্কার করে যার নাম মার্ক ওয়ান।
এই কম্পিউটারটি ১৯৪০ সালে। বাইনারি সিক্রেট বাইনারি সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারটি বানানো হয়েছিল। চার্জ ব্যাবেজ এর অসমাপ্ত কাজের বাস্তবায়ন এতে দেখা যায়। এরপরে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ তার ঠিক দুই বছর পর, জন মাখলে ও প্রেসার এ কার্ড একটি কম্পিউটার আবিষ্কার করেন। যার নাম সে সময় দেওয়া হয়েছিল ইউনিভ্যাক। এবং এটি ছিল পৃথিবীর সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক কম্পিউটার। এবং এরপর থেকে চার্লস ব্যাবেজের হাত ধরে বাজারে একের পর এক কম্পিউটার আসতে থাকে বর্তমানে যদিও চার্লস ব্যাবেজ বেছে নেই তবুও আমরা তার প্রতি অনেক শ্রদ্ধা জানাই। তিনি একমাত্র ওই ব্যক্তি যার কারণে কম্পিউটার জগতে একটি অধিক পরিমাণ পরিবর্তন এসেছে। এছাড়াও আরো অনেক ইতিহাস কম্পিউটার সম্পর্কে রয়েছে সেটি অন্য কোন আর্টিকেলে প্রকাশ করার চেষ্টা করব।