ইন্টারনেটের কারণে বিশ্ব আজ আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে আমরা সকলেই ইন্টারনেট ব্যবহার করি এমনকি আপনি এখন যে লেখাটি পড়তেছেন এটাও ইন্টারনেটের দাঁড়ায় সম্ভব হয়েছে আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি যে ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে। আমাদের স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই এর মাধ্যমে আমরা বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যে কারো সাথেই যোগাযোগ করতে পারি। ইন্টারনেটের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ বা ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জরুরি প্রয়োজন পূরণ করা যায় খুবই সহজে। তাহলে আজকে জানা যাক যে ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে। ইন্টারনেট মূলত একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটারের সংযোগ বা একটি ডিভাইসের সাথে আরেকটি ডিভাইস সংযুক্ত করা। প্রেরকের কম্পিউটার থেকে প্রাপকের কম্পিউটারে যেকোনো ডাটা আদান প্রদানের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থার নামই ইন্টারনেট।
আরো সহজ করে বলতে গেলে বলা যায় আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোনটিও এক ধরনের কম্পিউটার এবং আমরা যে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে যে ছবি বা ভিডিও আদান প্রদান করি তা হলো আমাদের তথ্য সেক্ষেত্রে আমি যখন একটি ছবি আমার এক বন্ধুকে প্রেরণ করি তখন আমি সেই প্রেরক কম্পিউটার আর আমার সে বন্ধু যে সে ছবিটি রিসিভ করে সে প্রাপক কম্পিউটার হিসেবে কাজ করে। ইন্টারনেটের আসার পূর্বে আমাদের বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনের কাছে কোন তথ্য প্রেরণ করতে হলে সেটি আমরা পোস্টাল সার্ভিস ব্যবহার করে প্রেরণ করতাম কিন্তু ইন্টারনেট আসার পর থেকে আমরা অনায়াসেই ঘরে বসে থেকেই সেই তথ্য বা ডেটা প্রেরণ করতে পারছি। আর আমাদের সেই কাজটি করে দিচ্ছে ইন্টারনেট। এছাড়াও পূর্বে পোস্টাল সার্ভিস এর মাধ্যমে আমরা যদি কোন তথ্য কারো নিকট প্রেরণ করে থাকতাম তাহলে কয়েকটি পোস্টাল অফিস ঘুরে এরপর সেই তথ্যটি আমার কাঙ্খিত ব্যক্তির কাছে পৌঁছতো সেক্ষেত্রে অনেক সময়ের ব্যাপার ছিল সেটা কিন্তু বর্তমান ইন্টারনেট সেটা আমাদেরকে ন্যানো সেকেন্ডের মাধ্যমে প্রেরণ করে দেয় এবং আমাদের অনেক সময় বাঁচায়।
যদিও ইন্টারনেটেও একটি ছবি বা তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে সেটি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এরপর কাঙ্খিত ব্যক্তির কাছে যায় কিন্তু এর পরেও তার সময়টা ন্যানো সেকেন্ড এর মধ্যেই সম্পূর্ণ হয় সেজন্য আমরা অত্যন্ত উপকৃত হই এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে। কিন্তু এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটার সংযোগের জন্য এই মাধ্যমটা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন তার দিয়েও হতে পারে অথবা ওয়াইফাই বা লাইফায়ের মাধ্যমেও হতে পারে। এবং এই তার দুই ধরনের হয়ে থাকে কপার কেবল বা অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল। ওয়ারলেস সংযোগের জন্য রয়েছে ওয়াইফাই, স্যাটেলাইট, বা মোবাইল ডাটা। এবং ওয়ারলেসের ই কয়েকটি উন্নত সংস্করণ হল ওয়াইফাই, লাইফাই বা ফাইভ জির মতো প্রযুক্তি। আমাদের একটি বিষয় জানা থাকা দরকার যে তথ্য বা ডাটা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে কম্পিউটার কিন্তু কোনটি ছবি বা ভিডিও এসব দেখেনা। কম্পিউটার শুধু চেনে কোড, তাই পাঠ্য ছবি বা যেকোনো ধরনের কনটেন্টকে কম্পিউটার প্রথমে কিছু কোড এ রুপান্তরিত করে এবং এই সমস্ত তথ্য গুলোর সাইজ অনুযায়ী এক একটি ছবি বা ভিডিওর কোড অনেক বড় হয়ে থাকে।
এই এত বড় ডাটা সরাসরি একটি পথে প্রেরণ করতে গেলে ইন্টারনেটের যাত্রাপথে জ্যামের সৃষ্টি হতে পারে ফলে যোগাযোগও হবে ধীরগতির, তাই প্রথমে সেই কোডগুলোকে ভেঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন পথে গ্রাহকের ডিভাইসে প্রেরণ করা হয় এবং সেখানে সব কোড গুলো একসঙ্গে হয়ে আপনার সামনে একটি ছবি বা ভিডিও প্রদর্শিত হয়। আর এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় প্যাকেট সুইচিং। আর যেহেতু এই প্যাকেটগুলো ভিন্ন ভিন্ন পথে প্রেরণ করা হয় তাই সেই যোগাযোগটা হয় খুবই দ্রুত গতিতে। ইন্টারনেট ব্যবস্থা সচল রাখতে সারা বিশ্বে লাখো- কম্পিউটার সর্বদাই কাজ করে যাচ্ছে কিছু কম্পিউটার তো এমন আছে যার কাজ হল শুধুমাত্র ফাইল বা ডেটা সংরক্ষণ করা এবং তার কাঙ্খিত ব্যক্তির কাছে সেটি পৌঁছে দেওয়া এ সকল কম্পিউটারগুলোকে সার্ভার বলা হয়। এই মুহূর্তে আপনি যেই ব্লক পোস্টটি করতেছেন এটি প্রথমে nafisrj.com এর এডমিন তাদের নিজস্ব সার্ভারে সংযুক্ত করেছেন এরপর আপনার চাহিদা অনুযায়ী সে সার্ভার থেকে আপনি এ ফাইলটি এক্সেস করতে পেরেছেন। যদি এই পদ্ধতি না ব্যবহার করে এই ফাইলটি সরাসরি আপনার ফোনে প্রেরণ করতে গেলে এটি অনেক সময়ের ব্যাপার ছিল সেক্ষেত্রে এমনও হতে পারতো যে আপনি ধৈর্য হারা হয়ে এটি না পড়েই চলে যেতেন। আর ইন্টারনেট এভাবেই কাজ করে থাকে।