মোবাইল ডাটা কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে

Internet-ইন্টারনেট

সভ্যতার বিবর্তনে আজ আমরা কেমন জায়গায় এসে পৌঁছেছি যে বর্তমান সময়ে এমনও হয় আমাদের যে এক সময় না খেলে বা একরাত না ঘুমালে বা যে কোন একটি কাজ সময়মতো না করলেও আমরা থাকতে পারি কিন্তু অনেকে এমনও আছি যে ইন্টারনেট ছাড়া একটি সময় থাকা আমাদের জন্য কষ্টকর। এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজন ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমাদের ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম আমরা সকলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকলেও আমরা অনেকেই জানিনা যে আসলে এটি কিভাবে কাজ করে। ইন্টারনেট ব্যবহারের অনেক কয়টি মাধ্যমের মধ্যে একটি মাধ্যম হলো মোবাইল ডাটা বা এমবি। যা আমরা যেকোনো সময় যে কোন জায়গা থেকে ইন্টারনেট এক্সেস করার জন্য ব্যবহার করে থাকি।

ইন্টারনেট বা আন্তজাল হল একটি বৃহত্তম নেটওয়ার্ক যা ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে কর্পোরেট, বিজনেস, এন্ড এডুকেশন সকল ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট আমাদেরকে একে অন্যের সাথে সংযুক্ত করে অর্থাৎ আমার পার্সোনাল কম্পিউটার বা মোবাইলটি যদি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে তাহলে এটির মাধ্যমে আমি বিশ্বের যে কোন জায়গার যে কোন তথ্য আদান-প্রদান করতে পারব যেমনভাবে এখন আপনার এই ডিভাইস থেকে আমার এই লেখাটি পড়তেছেন। ইন্টারনেট এটাকেই বলে। সাধারণত এখন আমরা অনেকেই ওয়াইফাই ইউজ করে থাকি কিন্তু যখন আমরা এর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকি বা দূরে থাকি তখন আমরা অবশ্যই মোবাইল ডাটা বা এমবি ব্যবহার করে থাকি। এমবি এর পূর্ণরূপ হচ্ছে মেগাবাইট। ডাটা ব্যবহার মেগাবাইট ও গিগাবাইট সংক্ষেপে জিবি দ্বারা পরিমাপ করা হয়। ডেটা পরিমাপের এক মেগাবাইট এ মোট ১০ মিলিয়ন বাইট থাকে এভাবেই ১০০০ মেগাবাইটের = ১ জিবি। সাধারণত আমরা সকলে মনে করে থাকি ইন্টারনেট হয়তো শুধুমাত্র স্যাটেলাইটের দ্বারা কাজ করে কিন্তু বিষয়টি একটু ভিন্ন ইন্টারনেটের প্রায় জেনুইন পার্সেন্ট সাবমেরিন ক্যাবল ও অপটিক্যাল ক্যাবলের মাধ্যমে অর্থাৎ তারের মাধ্যমে বাকি এক পারসেন্ট চলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এখন অনেকেই ভাবতে পারেন যে ফোনে কেবল সংযোগ কোথায় বা তারের সংযোগ কোথায় মূলত আপনার ফোনের তারের সংযোগ না থাকলেও আপনার ব্যবহৃত সেই wi-fi বা মোবাইল নেটওয়ার্ক সেই পর্যন্ত অবশ্যই তারের মাধ্যমেই সংযোগ রয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে সকল তথ্য আমাদের কাছে এসে পৌঁছায় এটি মূলত তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্তরের মাধ্যম দিয়ে আমাদের কাছে এসে পৌঁছে।


এই স্তর তিনটি হল Tier 1. Tier 2. Tier 3
Tier 1 বলতে ওই সকল কোম্পানিকে বোঝায় যারা সাবমারিন ক্যাবলের মাধ্যমে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবীতে কেবল বিছিয়ে রেখেছে।
Tier 2 বলতে সকল কোম্পানিগুলোকে বোঝায় যারা টি আর ওয়ান এর কাছ থেকে সংযোগ নিয়ে থাকেন অর্থাৎ টিয়ার ওয়ান তাদের সংযোগগুলোকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরে কিছু নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত নিয়ে আসেন এরপর তারা দ্বিতীয় স্তরের টিয়ার টু কে সংযোগ প্রদান করে।
Tier 3 টিয়ার থ্রি ঐ সকল কোম্পানিকে বলে যারা মোবাইল ডাটা এবং বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট আই এস পি হিসেবে একদম গ্রাহক পর্যায়ে সার্ভিস দিয়ে থাকেন। এখন প্রশ্ন হল তাহলে আসলে ডাটা টাকি আর আমরা যে সকল টাকা গুলি ডাটা ক্রয়ের জন্য প্রদান করে থাকি এগুলো আসলে যাই কোথায়..? ইন্টারনেট আসলে ডাটা সেল করে না ডাটা কোন উৎপাদনকারী জিনিসও নয় বরং আমরা যে সকল টাকাগুলো ডাটা ক্রয়ের জন্য প্রদান করে থাকি সেগুলো যারা এ সমস্ত সার্ভিসগুলো প্রদান করেন তাদের সার্ভিস চার্জ এবং মেনটেনেন্স খরচ হিসেবে দিয়ে থাকি। কথার কথা আমি 50 টাকা দিয়ে যদি ১ জিবি ডাটা কিনি তাহলে সেই ১ জিবি ডাটা দ্বারা আমি ১ জিবি তথ্য বা ডাটা আদান প্রদান করতে পারব এর বাইরে হলে আমাকে যারা এই সার্ভিসটি প্রোভাইড করতেছে তাদেরকে অতিরিক্ত টাকা পে করতে হবে আর ইন্টারনেট বা মোবাইল ডাটা এভাবেই কাজ করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *