ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যুগে যুগে প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন ভাবে আমাদের সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে আর যোগাযোগ কে এর একটি বড় মাধ্যম বলা যেতে পারে। একেবারেই শুরুর দিকে যোগাযোগের জন্য বিশেষ কিছু পাখি এর ব্যবহার করা হতো তবে এটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এবং কঠিন ব্যাপার ছিল। এরপরে একটি সময় রাজারা দূরে কোন বার্তা প্রেরণ করতে দুধ দের সাহায্য নিত। সময়ের সাথে সাথে যুগের পরিবর্তন ও সভ্যতার কিছুটা অগ্রগতির কারণে ডাক ব্যবস্থার উৎপত্তি ঘটে এরপর প্রাচীন সভ্যতায় কিছু যুগ এটির অধিক ব্যবহার হলেও বর্তমানে এটি প্রায় বিলুপ্তির পথে যার কারণ মানুষ এখন সভ্যতার একটি এমন দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে যে এখন মানুষের হাতের মুঠোয় প্রায় সবকিছু চলে এসেছে বললেও ভুল হবে না এবং বার্তা প্রেরণের ক্ষেত্রে আগে একসময় শুধু চিঠি বা ডাক যোগাযোগ থাকলেও এখন লিখিত অডিও ভিডিও এবং ছবি এর সকল কিছুই মুহুর্তের মধ্যে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
কারণ বর্তমান সময়ে আমাদের কাছে এমন একটি যন্ত্র রয়েছে যার সাহায্যে আমরা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের যে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারি। এমনকি এই মোবাইল নামক ডিভাইসটি দিয়ে ইন্টারনেট এক্সেস করতে পারি। পৃথিবীতে আবিষ্কৃত প্রথম মোবাইল ফোনটি আজকের মত এতটা আধুনিক ছিল না। বর্তমান সময়ে আমরা অতি স্বল্প মূল্যে মোবাইল ফোন ক্রয় করতে পারলেও সে সময় এটি ছিল অধিক ধনী এবং সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যবহারের একটি বস্তু। সে সময় একটি মোবাইল ফোনের দাম ছিল বর্তমান টাকায় প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। এরপরও শেষ সময়ের প্রায় দুই কিলোগ্রাম ওজনের এই মোবাইলটি দিয়ে শুধুমাত্রই কল করা যেত। এই দামটি শোনার পর আমাদের প্রায় সকলের মনেই একটি প্রশ্ন অবশ্যই আসবে একটি মোবাইল ফোনের দাম এত বেশি কিভাবে হয় কিন্তু বাস্তব হল সেসময় বর্তমান সময়ের মতো এত মোবাইল ফোন বা অধিক ফিচার সমূহ আবিষ্কৃত হয়েছিল না এবং সে সময় মোবাইল ফোন সবেমাত্র একটি বীজ থেকে সদ্য উৎপন্ন হওয়া একটি চারার নয় তাই সেসময় এই মোবাইল ফোন সকলের কাছে একটি স্বপ্নের নেই ছিল।
কারণ সে সময় কোনরকম তারের সংযোগ ছাড়া একটি সিগন্যাল পাওয়া প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার ছিল। তাই এই মোবাইল ফোন আবিষ্কারের ইতিহাস অত্যন্ত রোমাঞ্চকর। পৃথিবীতে কোন কিছুর আবিষ্কার একদিনে হয়নি তেমনি ভাবে মোবাইল ফোন এর আবিষ্কারও প্রায় ১০০ বছর ধরে হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক আমাদের অধিক প্রিয় যে জিনিসটি গড়ে ২৬১৭ বার আমাদের স্পর্শ পাই যার পেছনে আমরা বছরে প্রায় গড়ে ৮০০ ঘন্টা ব্যয় করে থাকি সেই মোবাইল ফোন ও প্রযুক্তি যুগে যুগে অনেক মহাপুরুষের সফলতার প্রতীক এবং আমাদের জীবনকে সহজ করার একটি বড় মাধ্যম হিসেবে আবিষ্কৃত হয়ে বর্তমানে আমাদেরকে সেবা প্রদান করছে। আজকে আমাদের স্মার্টফোনে যে আকর্ষণীয় ও চকমকা গঠন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি তা এক নিমিষেই হয়নি। না না প্রতিকূলতা প্রেরণের পর আজকের এই স্তরে এসে পৌঁছেছে। তাই প্রাণীজগতের বিবর্তনের তুলনায় মোবাইল ফোন এর বিবর্তনের ইতিহাসও কম রোমাঞ্চকর নয়।
যুগের পরিবর্তনে মোবাইল ফোনের অগ্রগতি
মোবাইল ফোনের প্রথম সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় ১৯০৮ সালে তখন ইউএস প্যাটেল সরকারি কাজে তখন তিনটি রাজ্যের ওয়ারলেস কমিউনিকেশন এর জন্য ফোন সদৃশ্য জিনিস স্থাপন করেন। ১৯২৬ সালে জার্মানিতে রেল এর ফার্স্ট ক্লাস যাত্রীদের সুবিধার জন্য রেলওয়ে কতৃপক্ষ হার্বউর থেকে বার্লি পর্যন্ত তাদের যাত্রীদের ওয়ারলেস কমিউনিকেশন এর সুযোগ করে দেয়, এই উদ্যোগটি ছিল সে যুগের ইতিহাসে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন এর বড় একটি মাইলফলক এরপর ১৯৪৬ সালে প্রথম আমেরিকার শিকাগো তে যানবাহনে বহনযোগ্য টেলিফোনে স্থাপন করেন তবে সেগুলো ছিল খুবই অতি লোভ ফ্রিকুয়েন্সির এরপরে খুব একটি বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হয়নি সকলকে ১৯৫৬ সালে সুইডেনে এর হাই ফ্রিকুয়েন্সির ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়।
এবং loaded dad প্রযুক্তি যুক্ত করে যানবাহনে এর ব্যবহার শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সেই সময়েও এর ওজন ছিল প্রায় ৪০ কেজি এর কাছাকাছি এবং শেষ সময় সর্বোচ্চ ১২৫টি সাবস্ক্রিবশন করা যেত এই ডিভাইসটিতে যেটা সে সময়ের জন্য একটি অনেক বড় বিষয় ছিল। তবে সেগুলো ছিল কিছুটা অগোছালো উদ্যোগ এবং তার সাথে অধিক ব্যবসায়িক সাধ্য জড়িত ছিল। বৃহৎভাবে আধুনিক মোবাইল প্রযুক্তি এর পথচলা শুরু হয় Nordic Mobile Telecom বা NMT এর হাত ধরে ১৯৬৯ সালে শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটি নরওয়ে, ডেন ওয়ার্ক, ফিনল্যান্ডে মোবাইল ফোনে ওয়ারলেস টেকনলজির জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালায় তবে তখনো মোবাইল ফোন মানুষের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পাইনি আর তার বড় একটি কারণ ছিল সেগুলোর অতিরিক্ত ওজন এবং আকৃতি এরপরে Motorola communication system এর ম্যানেজার ডক্টর মার্কিন কুপার সর্বপ্রথম হাতে ব্যবহারযোগ্য মোবাইল ফোন বাজারে নিয়ে আসেন ১৯৭০ সালে যার ওজন ছিল এক কেজি ১০০ গ্রাম সমপরিমাণ সে সময় ফোনটি অনেকটা ইটের মতো দেখতে হওয়ায় কিছু দুষ্টু লোকজন এটাকে the Greek phone বলেও সম্বোধন করত আর সেই সময় ওজনের সাথে সাথে এটির দামেও কিছুটা ভারত্ব প্রকাশ পেত কারণ সে সময় এই ফোনটি কিনতে ৩০০০ ইউরো বা ৪ হাজার ইউ এস ডলার প্রয়োজন হতো তাই সকলের ক্ষেত্রে এটা ক্রয় করা সম্ভব ছিল না শুধুমাত্র কিছু বিত্তবান মানুষেরাই এই ফোন ব্যবহার করত।
এরপর ১৯৮৭ সালে মোটোরোলা এর আধুনিক সংস্করণ হিসেবে Motorola dantic 8000 x বাজারে আগমন করে কিন্তু এরপরেও the Greek phone এই অপবাদটি ঘুচিত হয়নি। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করলে সে সময় তো আর মাইক্রোচিপ বা এই জাতীয় জিনিস আবিষ্কৃত হয়নি তাই সে সময় এটিও একটি বড় আবিষ্কার ছিল। এদিকে ৯৮২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১ টি দেশ মিলে চিন্তাভাবনা করেছিল কিভাবে এই মোবাইল ফোন ব্যবহারে ওয়ারলেস কমিশন এর ধারণা ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে দেয়া যায়। আর বরাবরের মতোই এই মহাযজ্ঞে নেতৃত্ব দিয়েছিল NMT এরই ধারাবাহিকতায় communication earning wise ১৯৮৫ সালে প্রথম ফোন কলটি করে সকলের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। সে সময় তিনি ইংল্যান্ডের সেন্ট ক্যাটারিং শহর থেকে Vodafone এর হেডকোয়ার্টারে ওয়ারলেস কমিউনিকেশন এর মাধ্যমে ফোন কলটি করেন যা এক বিশাল দূরত্ব ছিল। তবে এ সকল কিছুকে পেছনে ফেলে ১৯৮৭ সালে একটি আবিষ্কার ওয়ারলেস কমিউনিকেশন ও মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ফ্রিল্যান্স এর সূচনা ঘটে এই সময় GSM technology আবিষ্কার ও ব্যবহার শুরু হয়। এর ফলে শুধু দেশেই নয় বরং আন্তর্জাতিক ফোন কল করা শুরু হয়। এবং ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্র্যান্ড ও কম খরচে কার্যসম্পাদনের সুযোগ করে দেয় আর এভাবেই অত্যন্ত দ্রুতগতিতে মোবাইল ফোনের উৎকর্ষ বেড়ে উঠতে থাকে।
এর আগে যখন মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুধুমাত্র কথা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তার বড় একটি পরিবর্তন ১৯৯২ সালে সংগঠিত হয় সেটি হল সেই বছরই পৃথিবীতে সর্বপ্রথম এসএমএস সার্ভিস এর সূচনা ঘটে। আর প্রথম মেসেজটি করেছিলেন ইংল্যান্ডের একজন ২২ বছর বয়সী টেলিকম কন্টাকটার nil papad তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ভোডাফোনের প্রথম নির্বাহী রিচার্জ সার্ভিস কে প্রেরণ করেন। আর সেই সর্বপ্রথম মেসেজটিতে লেখা ছিল merry Christmas আর সেই সময় থেকেই যে কোন ছুটির দিনে ওয়ারলেস কমিউনিকেশন এ মেসেজ পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানানো এর প্রথা হয়তো সূচনা হয়। এরপরে ১৯৯৬ অথবা ১৯৯৭ সালে ইংল্যান্ডে যেকোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার কারী এর সংখ্যা ১৬% ছিল। এর এক দশক পর সেই অংক ৮০ দশক এরও বেশি হয়ে দাঁড়ায় আর শুধু ইংল্যান্ডেই নয় বরং অন্যান্য বিশ্বেও এর চাহিদা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এর পিছনে টেলিকম কোম্পানিগুলোর কিছু নীতিও অবদান রাখে যার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য pay as you go, non contactor services, Vodafone prepaid package, প্রভৃতি। সেসময়ের মোবাইল ফোনের মডেলের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য মডেল হল moderator static, এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফোন ছিল এবং তৎকালীন সকলের চাহিদা পূর্ণ একটি মডেল হিসেবে এই ফোনটি গণ্য হতো। এই তালিকায় জার্মানির আরেকটি ফোন The Hagenuk Globalhandy যা ১৯৯৮ সালে বাজারে আসে যা ছিল সর্বপ্রথম এন্টেনা ছাড়া মোবাইল ফোন।
এছাড়াও Nokia 5110 ও Nokia 7110 বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মেসেজিং প্রযুক্তি এর সূচনা হওয়ার পর মোবাইল প্রযুক্তিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ততদিনে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের করণীয় গুলো বুঝে ফেলে। ১৯৯৯ সালে ফিনল্যান্ডের টেলিকম কোম্পানি radio jila প্রথমডাউনলোড যোগ্য কনটেন্ট মোবাইল রিংটোন আবিষ্কার করেন। আর সেই ফাস্ট টোনটি ছিল crazy Fox সেই সময় এই ফিচারটি এতই জনপ্রিয়তা পায় যে radio jila কোম্পানি শুধুমাত্র এই টোন বিক্রি করে অর্ধ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। ঠিক সেই বছরে আরেক জাপানি প্রযুক্তিবিদ আজকের যে এত শত ইমোজি আমরা ব্যবহার করে থাকি তার আবিষ্কারক হলেন shikakate kurito নামক একজন জাপানি ভদ্রলোক। এরপরে মোবাইল প্রযুক্তির আরো রকমারি ফিচার সমূহ যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে আবিষ্কার হতে থাকে। এবং সেই বছরই ব্রিটেন বাঁশি সবচেয়ে কম খরচে মাত্র ৪০ ইউরোতে মোবাইল ফোন ক্রয় করার সুবিধা পায়। এই প্রতিযোগিতাকে তুঙ্গে নিয়ে আসে ব্ল্যাকবেরি কোম্পানি এর প্রথম মোবাইল ফোন বিশ্বখ্যাত এই কোম্পানি এর নয়া প্রযুক্তিতে একগাদা ফিচার সমূহ দেখে সকলেই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাদের সকল ফিচার সমূহের সাথে একটি ফিচার যা তাদেরকে আরও আকৃষ্ট করে তুলে সেটি হল ইমেল ফিচার করবে শুধুমাত্র কম্পিউটারের মাধ্যমে ইমেইল প্রেরণ করা গেলেও এই কোম্পানি এর এই মডেলটিতে ফোনের মাধ্যমেও ইমেইল করা যেত তাই এটি সকলকে অধিক আকৃষ্ট করে।
তখন official un official সকল কাজের ক্ষেত্রে মেল ব্যবহার করা হতো কিন্তু কম্পিউটার ছাড়া মেইল ব্যবহার করা যেত না কিন্তু এই ফোনটি মেল ব্যবহারের সুবিধা দেওয়ায় এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যার ফলশ্রুতিতে বছরখানেকের মধ্যেই ইংল্যান্ডের ৮৩% ফোন ব্যবহারকারীদের হাতে এই ফোন শোভা পেতে থাকে। ২০০০ সাল এর শুরুতেই মোবাইল প্রযুক্তি এক নতুন ভাবে পথ চলার শুরু করে আর সেই পথ চলার সঙ্গী হয় Nokia নোকিয়া বাজারে নিয়ে আসে ৩৩১০ মডেলের একটি মোবাইল ফোন যা সেসময় ১২৬ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়। সেই সাথে sharp be original বাজারে প্রথম ক্যামেরাওয়ালা ফোন নিয়ে আসে। মডেল ছিল the sharp as JH04 যদিও ইউরোপে এই ক্যামেরাওয়ালা ফোন পেতে কিছুটা অপেক্ষা করতে হয় ২০০২ সালে নোকিয়া তাদের ৬৭৫০ মডেলের ক্যামেরাওয়ালা ফোনটি ইউরোপের বাজারে ছাড়ে। ২০০৩ সালে মোবাইল প্রযুক্তি এর চূড়ান্ত প্রয়োগ শুরু হয়ে যায় যদিও এর আগেই মোবাইল প্রযুক্তি ছিল তবে সেই প্রযুক্তির ২০০৩ সালের পর যেই প্রভাব বিস্তার করে সেই প্রভাব পূর্বে ছিল না। থ্রিজি চালু হওয়ার পর থেকে মোবাইল প্রযুক্তি এর মধ্যযুগের ইতি ঘটে কারণ মানুষ আধুনিক ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ অন্য এক পৃথিবীকে উপভোগ করে।
ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম থ্রিজি সার্ভিস ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে অনেক মাধ্যমে উল্লেখ করা হলেও এর সূচনা হয় মূলত নেপালে। নেপালে এনসেল টেলিকম কোম্পানি পুরো নেপাল জুড়ে থ্রি জি প্রযুক্তি এর বিস্তার ঘটায় বলা হয় তাদের নেটওয়ার্ক সার্ভিস এতটাই ভাল ছিল যে মাউন্ট এভারেস্টেও তাদের থ্রিজি সার্ভিস পাওয়া যেত। সে সময় সেরা কয়েকটি থ্রিজি সার্ভিস সাপোর্টেড মোবাইল এর মধ্যে Motorola A 380, NAC Is606, NEC808 বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপরে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল এই তিন বছরে মোবাইল প্রযুক্তির যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে বলা হয়ে থাকে তা বিগত 30 বছর কেউ ছাড়িয়ে যায়। ২০০৭ সালে টেক জয়েন অ্যাপেল তাদের প্রথম স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসে এবং ব্যতিক্রমী সকল ফিচার থাকার কারণে তখন সেই ফোনটি বাজারে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে সেই সাথে অ্যাপেলের উচ্চ দামের বিষয়ে সেই সময় থেকেই একটি মহল আলোচনা সমালোচনা করে এসেছে। এর এক বছর পর বাজারে এন্ড্রয়েড ফোন ও চলে আসে যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন অধিক জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর অবস্থা নিভু নিভু হয়ে আসছিল। ios o android অপারেটিং সিস্টেম এর এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে অ্যাপেল তাদের অ্যাপ স্টোর আবিষ্কার করে এবং অ্যান্ড্রয়েড তাদের ব্যবহারকারীদের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর এর সূচনা ঘটায়। এরপরে যুগের পরিবর্তনে 4g এবং বর্তমানে আমরা ৫জি এর সময়ে চলে এসেছি যা আমাদের জীবনকে এক ভিন্ন জগতে পরিবর্তন করে তুলেছে।