একটি ভালো ওয়েবসাইট বানাইতে গেলে যেমন ভাবে একটি ভালো রোমেন নেম চুজ করতে হয় ঠিক তেমনি ভাবে একটি ভালো ওয়েবসাইট রান করতে গেলে একটি ভালো ওয়েব হোস্টিংও খুবই জরুরী আমরা যারা অনলাইনে কাজ করতে ইচ্ছা পোষণ করি এর মধ্যে আমরা কিছু সংখ্যক মানুষ আছে যারা ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কে জানি আর যারা ওয়েবসাইট হোস্টিং এন্ড ডোমেন এর সাথে নতুন পরিচিত হচ্ছে তাদের জন্য এটি জানা অত্যন্ত জরুরী চেয়ে ভালো ওয়েব হোস্টিং কিভাবে বাছাই করব। অবশ্যই ভালো ওয়েব হোস্টিং বাছাই করতে গেলে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয় কিন্তু এই সামান্য সময় এবং অর্থের বিনিময়ে যে ফলটুকু পাওয়া যাবে সেটি আর পাঁচটি এমন ওয়েবসাইট বা এমন হোস্টিং যা আপনি বাছাই না করেই ক্রয় করছেন সেটার থেকে অবশ্যই বেটার পারফরমেন্স দিবে। একটি ভালো ওয়েবসস্টিং বাছাই করার জন্য আমাদের যে সকল বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রথমত আমরা এটা জানবো যে, যেই ওয়েব হোস্টিংটা আমরা ক্রয় করতেছি তার আপ টাইম এবং লোডিং টাইম কেমন। এটি জানা অত্যন্ত জরুরী এর সাথে সাথে স্পিড পারফরম্যান্স এন্ড ডাউন টাইম এটাও জানা জরুরী।
অবশ্যই বাজেটের দিকে লক্ষ্য রেখে একটি হোস্টিং কেনার আগে এই কয়েকটি বিষয় সহ আরো কিছু বিষয় যেগুলো অবশ্যই চেক করে তারপরে হোস্টিং কেনা উচিত। বিষয়গুলি হলো:- ওভারঅল আপ টাইম এবং লোডিং টাইম কত। প্রতিমাসে কি পরিমানে ব্যান্ডউইথ দিচ্ছে। কয়টি ইমেইল একাউন্ট সেটাপ করার সুবিধা দিবে। ওয়েব সার্ভার এর ডিস্ক স্পেস কত দিবে। এবং ওয়েব হোস্টিং এর ডেটা সেন্টার কয়টি কন্টিনেন্টাল রয়েছে। ssl cdm এবং ডেইলি ব্যাকআপ এর সুবিধা দিচ্ছে কিনা। থারটি ডেস মানিব্যাগ গ্যারান্টি দিবে কিনা। মেন সিএমএস সফটওয়্যার গুলো অটোমেটিকলি ইন্টারোগেশন করা রয়েছে কিনা। কতগুলো সাবডোমেন এবং এফটিপি একাউন্ট করার সুযোগ দিবে। এরপরে যেটি সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল ২৪ আওয়ার সাপোর্ট সহ টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিবে কিনা। এছাড়াও যারা দীর্ঘদিন যাবত এসেক্টরে কাজ করে আসতেছে তাদের কাছে অবশ্যই পরামর্শ নিয়ে যাচাই বাছাই করে একটি ওয়েব হোস্টিং আমরা পারচেজ করব তাহলে অবশ্যই আমরা লাভবান হব।
ওয়েব হোস্টিং বা হোস্টিং সার্ভার কেনার ক্ষেত্রে কোন কোন প্লাটফর্ম গুলো সবচেয়ে ভালো ও নির্ভরযোগ্য
দীর্ঘদিনের কাজের এক্সপেরিয়েন্স এবং বিভিন্ন অ্যাপ ডেভেলপার এবং ওয়েব ডিজাইনারদের সাথে কথা বলে এছাড়াও ইউটিউব সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ওয়েব ডেভলপার এবং ওয়েব ডিজাইনারদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে এবং রিসার্চ করে আমি যতটুকু জানতে পেরেছি সেগুলো আপনাদের সাথে এখন আমি শেয়ার করব আশা করছি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে এই অনুযায়ী যদি কাজ করেন তাহলে লাভবান হবেন। নাম্বার ওয়ানে আমি যে কোম্পানিটি আপনাদের রিকমেন্ট করব সেটি হল hostinger এর সকল প্যাকেজগুলি খুবই চিফ রেটের হয়ে থাকে এবং অত্যন্ত ভালো স্প্রিট দিয়ে থাকে। দ্বিতীয় নাম্বারে আমি যে কোম্পানিটি রিকমেন্ট করব সেটি হল siteground এই দুইটি কোম্পানির হোস্টিং গুলো খুবই ভালো বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এছাড়াও এই দুইটি কোম্পানিতেই টুয়েন্টিফোর ৭ টেকনিক্যাল সাপোর্ট উইথ টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আপনি পাবেন। যেখানে কিছু কিছু কোম্পানি এমন আছে যে তাদের কাছে একবার হোস্টিং বা ডোমেইন পারচেজ করার পরে বিভিন্ন প্রয়োজনে আপনি নক দিলে দুইদিন তিনদিন অথবা এক সপ্তাহ লেগে যায় তারা কোন রিপ্লাই করে না বা আপনাকে কোন রেসপন্স করে না আর এদিক থেকে এ দুটি কোম্পানির রেসপন্স টাইম খুবই সীমিত। বর্তমানে ইউটিউব ফেসবুক বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনকি p2p এর মাধ্যমেও অনেকে কমিশন ভিত্তিক কিছু কোম্পানির সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে যার দ্বারা আপনার ক্ষতি হবে কিন্তু যে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবে তার লাভ হবে তাই আপনি একটু যাচাই-বাছাই করে ডোমেন এবং হোস্টিং পারচেজ করবেন এটাই আপনার জন্য ভালো হবে
আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে ডোমেন হোস্টিং পারচেস করতে চাই কিন্তু কোন কার্ড না থাকার কারণে ইন্টারনেসনালি এসব কোম্পানি ব্যবহার করতে পারছি তারা কি করতে পারি
আমরা যে সকল নতুন উদ্যোক্তা রয়েছি যারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আর্ন করতে চাচ্ছি বা ওয়েবসাইট ডেভেলপিং বা ডিজাইন শিখতে চাচ্ছি কিন্তু ডোমেন হোস্টিং পারচেজ করতে যেয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তারা একটু বেশি ভালোভাবে রিসার্চ করলেই জানতে পারবেন বাংলাদেশেও অনেক এমন কোম্পানি রয়েছে যারা আপনার এই বিজনেসটাকে শুরু করার জন্য আপনার পথের সাথী হবে আমি পার্সোনালি কোন কোম্পানির নাম উল্লেখ করতে চাচ্ছি না তবে বাংলাদেশেও কিছু এমন কোম্পানি আছে যাদের ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস আপনার এই ক্ষুদ্র বিজনেসটাকে স্টার্ট করার জন্য যথেষ্ট আর আপনি যখন এই ধরনের বিজনেস গুলো স্টার্ট করতে চান তখন শুরুতে যদিও আপনার এ সমস্ত ভিসা কার্ড মাস্টার কার্ড গুলো থাকে না কিন্তু যখন আপনি এই সেক্টরে কাজ করতে যাবেন তখন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আপনার এগুলোর প্রয়োজন হবে এবং এগুলো আপনি তৈরি করে নিবেন কারণ শুধু ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করার জন্যই ভিসা মাস্টার কার্ড প্রয়োজন হয় না বরং এই সেক্টরে অনেক কিছুই ভিসা এবং মাস্টার কার্ড দিয়ে করতে হয়। তাই আমাদের যাদের নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার কারণে ভিসা এবং মাস্টার কার্ড নেই তারা এখন বাংলাদেশী কোন কোম্পানি যেটা আপনার রিসার্চ করার পরে ভালো মনে হবে তার কাছ থেকে ডোমেন-হোস্টিং ক্রয় করে আপনি আপনার বিজনেসটাকে স্টার্ট করতে পারেন এরপরে যখন আপনার এই বিজনেসটা কিছুটা গ্রো করবে তখন তখন আপনি অবশ্যই আপনার পছন্দমত অন্য কোম্পানিতে শিফট করতে পারবেন। আশা করছি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে আপনাদের সাথে আমার নলেজ গুলো শেয়ার করতে পেরেছি এবং আপনারা যারা আমার এই আর্টিকেলটি পড়তেছেন আপনাদের উপকার হয়েছে।